২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকার সেনানিবাসের বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করা হয়। সেই সময়ে এ ঘটনাকে সহজে মেনে নিতে পারেনি বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তারা সাথে সাথে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ে এর প্রতিবাদ জানান। নারায়ণগঞ্জেও বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। পরে এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় বিএনপির ৫২ জন নেতাকর্মীদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ১২ (১১)১০।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর সেই মামলার সব আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রোববার (২৬ জানুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৩য়) শাফিয়া শারমিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মামলার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামী নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান বলেন, ক্যান্টেনমেন্টের যে বাড়ী থেকে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে ফ্যাসিস্ট সরকার উচ্ছেদ করেছিলো সেটা আমরা মেনে নিতে পারেনি। এ ঘটনায় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই আমরা সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে নেমে এর প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু ওই ফ্যাসিস্টদের সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের দীর্ঘ প্রায় পনেরোটি বছর আমাদের হয়রানি করে আসছিলো। আজ মহামান্য আদালত আমাদের সব আসামীকে খালাস প্রদান করেছে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি সত্য কিন্তু এখনও আমাদের মনে আনন্দ নেই। কারণ, যতদিন না ওই ক্যান্টেনমেন্টের বাড়ীটি আমাদের নেত্রীকে ফিরিয়ে দেয়া না হবে ততদিন আমরা এ নিয়ে আনন্দ করতে পারছি না। তাই অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে আমরা দাবি করছি, অনতিবিলম্বে ক্যান্টেনমেন্টের সেই বাড়ীটি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফিরিয়ে দেয়া হোক।
এসময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, দিদার খন্দকার ও সরকার আলমসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।