মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

আদালতে জাকির খানের বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ

সিটি নিউজ / ৭৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খানের বিরুদ্ধে আদালতে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন আদালতে মামলার চতুর্থ ও পঞ্চম সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এরা হলেন নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের বোন কামরুন নাহার ও তার অফিস সহকারি রফিক সাক্ষ্য প্রদান করে। এসময় সাক্ষিদের আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।

প্রায় এক ঘন্টারও অধিক সময় চলে সাক্ষীদের জেরা ও সাক্ষ্য গ্রহণ। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরার পাশাপাশি আসামী জাকির খানের নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করে।
এ বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী মো: রবিউল হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাব্বির হত্যা মামলায় আজ দুজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এরা হলেন, মামলার চতুর্থ সাক্ষী নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের আপন বোন কামরুন নাহার ও পঞ্চম সাক্ষী সাব্বির আলম খন্দকারের অফিস সহকারি রফিক। সাব্বিরের আপন বোন তিনি প্রত্যক্ষদর্শী বলে আদালতকে জানিয়েছেন। কিন্তু ওনার সাক্ষীর মধ্যে কে কারা এবং কিভাবে তাকে হত্যা করেছে, সেটা তিনি বলতে পারেন নি। তিনি জাকির খানের নামও বলেন নি, আমরা তাকে জেরা করেছি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত বলারও কিছু নাই। তবে এ সাক্ষীদের মধ্যে জোড়ালো কিছু নাই, তারা তেমন কোন জোড়ালো বক্তব্য দিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আজকে আদালতে অন্য একটি বিষয় নিয়ে আমরা আলাদা আলাদা দরখাস্ত দিয়েছি। বিষয়গুলো হলো, তার নিরাপত্তা, জেকেট পড়ানো, হেলমেড পড়ানো এবং চিকিৎসার বিষয়। এসব বিষয়ে কিছু দরখাস্ত মঞ্জুর হয়েছে, কিছু দরখাস্ত মঞ্জুর হয়নি। চিকিৎসার বিষয়টা মঞ্জুর হয়েছে, তবে হেলমেড পড়ানো সহ ইত্যাদি আরও কিছু দরখাস্ত মঞ্জুর হয়নি।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আদালতে জাকির খানকে হাজির করা হয়। আদালতে জাকির খানকে হাজির করার সময় আদালতপাড়ায় তার শত শত কর্মীসমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন >>> আদালতে জাকির খানের সাক্ষ্যগ্রহণ, জামিন না মঞ্জুর

 

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রধান আসামী গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেয়ায় মামলার বাদি তৈমূর আলম খন্দকার সিআইডির দেয়া চার্জশীটের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন।
নারাজি পিটিশনে তৈমুর আলম বলেন, গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকান্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি গোজাঁমিলের চার্জশীট দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই