নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এখনও ফিরছে না জনগণের আস্থা। জনগণের মাঝে এখনও এ দলটিকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য যাচ্ছে। যা দলটির জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়।

জনগণ বলছে, এ দলটি ক্ষমতায় গেলে সারাদেশে চাঁদাবাজী-সন্ত্রাসী ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ফের দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। সুতরাং এর চেয়ে ভালো ইসলামী কোন দলকে ভোট দিবে। তারা আর যাইহোক দুর্নীতি করবে না।

জানাগেছে, পাঁচ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজী, দখলবাজী ও সন্ত্রাসীসহ খুন খারাপির মত ঘৃণিত নানা অপকর্মে মেতে উঠে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসব কর্মকান্ডে জনগণ এক কথায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। কিন্তু তবুও বন্ধ হয়নি তাদের এসব অপকর্ম। বরং সময়ের সাথে সাথে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ফলে জনগণ এ দলটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে হাইকমান্ডরা বার বার এসব অপকর্মে না জড়ানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দিলেও তা কর্ণপাতই করছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা। বরং এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাদের স্ট্যান্ডবাজি করতে দেখা যাচ্ছে। তারা মুখে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেও বাস্তবতায় দেখা যায় ভিন্নরূপ। দেখাযায়, তারাও এসব কাজে দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করছেন, সেল্টারও দিচ্ছেন। যা দলটির ভাবমুর্তি ও জন আস্থা তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যে জনআস্থা অর্জন করা খুবই জরুরী বিষয় হলেও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা রীতিমত এখনও নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। তারা এখনও জন আস্থা অর্জনে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে জনতার কাতারে গিয়ে বসছেন না। যা দলটির জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয় বলে বিবেচিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, আসলে ৫ আগস্টের পর জনগণ ভেবেছিলো বিএনপি নেতাকর্মীরা সংযত আচরণ করে তাদের সমর্থন ও আস্থার ভিতকে আরও মজবুত করবে। কিন্তু তারা যেটা করলো এবং করছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দখলবাজী থেকে চাঁদাবাজী এমনকি খুন-খারাপির মত ঘটনার সাথেও তারা জড়িয়েছে। বর্তমানে তাদের এসমস্ত কর্মকান্ডে জনগণ এক কথায় বিতৃষ্ণা হয়ে উঠেছে। তারা যদি এ পথ থেকে না সরে আসে একসময় তাদের পরিনতি অনেকটা আওয়ামী লীগের মতই হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, বিএনপিকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণের যখন এমন ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া তখনও দলটির নেতাকর্মীরা জনআস্থা অর্জনে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। বরং যে সকল অভিযোগে দলটির নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তারাও তাদের অবস্থান থেকে একচুল পরিমানও সড়ে আসেন ন। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই আসন্ন। তার আগেই যদি জনগণের আস্থা অর্জনের উদ্যোগ নেয়া না হয়, তাহলে নির্বাচনে কঠিন চেলেঞ্জে পড়বে দলটি। যদি এক্ষেত্রে কিঞ্চিত পরিমানও গাফলতি করা হয় তাহলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখেও পড়তে পারে দলটি। আর তখন হয়তো কিছুই করার থাকবে না।