রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

জাকির খানকে বাইরে রাখার সুযোগ নাই

মিলন বিশ্বাস হৃদয় / ২৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই যে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান একটা বিরাট জায়গা দখল করে আছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি দেশের বাইরে থাকলেও অনুসারিদের দ্বারা তিনি রাজপথ দখলে রেখেছিলেন। এসব আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তার অনুসারিরা একাধীক হামলা মামলা এমনকি কারানির্যাতিতও হয়েছিলেন। সবশেষ ৫ আগস্টেও তার বিশাল কর্মীবাহিনীরা রাজপথে থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে সফল করে তুলেছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে জাকির খানের মত এত জনপ্রিয় নেতা খুব কম সংখ্যকই দেখা যায়। তিনি একাধারে যেমন জনপ্রিয় নেতা, ঠিক তেমনি একজন ত্যাগী নেতাও বটে। দলের জন্য তিনি যুগের পর যুগ যে ত্যাগ শিকার করেছেন, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এমন ত্যাগী নেতা পাওয়া বিরল। কারণ, তার জীবন যৌবন সব দলের কাছে বিলিয়ে দিয়েছেন। দলের জন্য বার বার কারানির্যাতিত ও নির্বাসিত হয়েও কখনও দল থেকে সরে দাঁড়ান নি এবং কারে কাছ মাথাও নত করেন নি। তিনি শুরু থেকে আজ অব্দি অত্যান্ত সাহসীকতার সাথে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।

১৯৯৪ সালে বিএনপির রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করা জাকির খানের জনপ্রিয়তায় কখনও ধস নামতে দেখা যায় নি। শত বাধা বিপত্তির মাঝে হেঁটে চললেও তিনি তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। বিএনপির রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। বরং বেড়েছে দ্বিগুন হারে। একটি হত্যা মামলায় বেকুসুর হয়ে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার তার পিছনে যে জনস্রোতের সৃষ্টি হয়েছিলো এবং সম্প্রতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তার র‌্যালিতে দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণই তার প্রমাণ মিলে। সুতরাং তার মত এত জনপ্রিয় একজন নেতাকে বিএনপির বাইরে রাখার কোন সুযোগ নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে জাকির খানের মত জনপ্রিয় নেতাদের অগ্রাধীকার দিতে হবে। কারণ, সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জাকির খানের মত জনপ্রিয় নেতাদেরই বেশি প্রয়োজন। নারায়ণগঞ্জের আসনগুলোতে বিশেষ করে চার ও পাঁচ আসনে যেই দলীয় প্রার্থী হোক না কেন, একজন জনপ্রিয় নেতাকে বাইরে রেখে সেই নির্বাচনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারবেন বলে মনে হয় না। তাই ব্যক্তিগত মতোপার্থক্য ভুলে নির্বাচনের আগেই জাকির খানের মত জনপ্রিয় নেতাদের কাছে টানা উচিৎ।

জানাগেছে, ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তখনকার বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারও বাধ্য হয়েছিলেন জাকির খানকে কাছে টানতে। কারণ, তিনি জাকির খানের জনপ্রিয়তার সম্পর্কে আগে থেকেই জানাতেন। তিনি এও জানতেন, এ নির্বাচনে যদি জাকির খানকে সাথে রাখা যায়, তাহলে তার যে বিপুল সংখ্যক কর্মীসমর্থক আছে, তাদের ভোটগুলো টানা সম্ভব হবে। যদিও জাকির খান তখন তৈমূরের দেয়া মামলায়ই পলাতক ছিলেন। তৈমূরের বড় ভাই ব্যবসায়ী সাব্বির হত্যার দায়ে জাকির খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন তৈমূর। তবুও নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য তিনি সেদিন ছুটে গিয়েছিলেন জাকির খানের বাসায়। সেখানে গিয়ে তিনি জাকির খানের মায়ের কদমরুচি করে দোয়া চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তার বাসায় তিনি ভুড়িভোজও করেছিলেন। সেই সমস্ত খবর স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে ফোলাই করে ছাপাও হয়েছিলো। এ থেকেই উপলব্দি করা যায় যে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে জাকির খানের ঠিক কতটা প্রয়োজন আছে।

এদিকে ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতারা বিশেষ করে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জাকির খানকে কাছে টানতে চেষ্টা করছেন। তবে এ বিষয়ে তারা ঠিক মুখে কিছু না বললেও মাঠে ময়দানে কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে জাকির খানকে দহরম মহরম দেখা যায়। যা থেকে ধারণা করা যায় যে, খুব শীঘ্রই তারা এক টেবিলে বসতে যাচ্ছেন।

যদিও জাকির খান জেল থেকে বেড়িয়েই ঐক্যের ডাক দিয়ে তাদেরকে কাছে টানতে চেয়েছিলেন। কিন্ত তখন নারায়ণগঞ্জের পদধারী বিএনপি নেতারা তার এই ডাকে সায় দেয়নি। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে একটা অদৃশ্য ঐক্য লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের দিন জাকির খানসহ মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা মান-অভিমান ভুলে আদালতপাড়ায় উপস্থিত হয়ে বিএনপি প্যানেলের পক্ষে একযুগে কাজ করেন। ফলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় বিএনপি সমর্থিত প্যানেল। সেই থেকে প্রায় মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে জাকির খানকে দেখা যায়। কারণ, মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারাও জেনে গেছেন, জাতীয় নির্বাচনে জাকির খানের প্রয়োজন আছে। তাইতো তারা জাকির খানের সাথে ঐক্য গড়ে তুলতে চাচ্ছেন। তবে সত্যিকার অর্থে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে সেই ঐক্য হলে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তা খুবই ইতিবাচক হবে বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই