বিএনপির চরম দুর্দিনে মাঠে থেকে আওয়ামী লীগ ও পুলিশবাহিনীর বহু হামলার শিকার হয়েছিলেন কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মীর মুহাম্মদ মোকলেজ। হুমকি ছিলো প্রাণে মেরে ফেলার কিংবা গুম করে ফেলারও। তবুও মাথা নতো করেন নি তিনি। বরং আরও সাহসীকতার সাথে মাঠে সক্রিয় থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তোলেছেন। পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, কখনো মৃত্যুকে ভয় করেন নি। তাছাড়া বিনিময়ে দল থেকে কিছুই চান নি। শুধু নি:স্বার্থভাবে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের জন্য নিরলশভাবে কাজ করে গেছেন।
জানাগেছে, ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ নূর মসজিদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সাবেক কাশীপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মীর মুহাম্মদ মোকলেজ । সেই ছোট বেলা থেকেই স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবেসে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। এরপর থেকে বিএনপির প্রতিটি মিটিং মিছিল ও সভা-সমাবেশে তার অংশগ্রহণ ছিলো চোঁখে পড়ার মত। বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে গভীর ষড়যন্ত্রেরও শিকার হয়েছিলেন এ মোকলেজ। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন মামলার আসামী করা হয়। সেইসব মামলায় একাধীকবার কারানির্যাতিতও হন তিনি। কিন্তু এত কিছু করেও তাকে আটকিয়ে রাখা যায়নি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশ থেকে তাকে বিচ্যুত করানো যায়নি। ষড়যন্ত্রকারি ওই ফ্যাসিস্টদের রক্তচক্ষুকে ভয় করেন নি। তাদের সাথে আঁতাঁত করেন নি। বরং আরও শক্তিশালী রূপে মাথা উঁচু করে মাঠে থেকেছেন। স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক স্লোগান দিয়ে রাজপথ গরম রেখেছেন। কিন্তু দল কখনোই তাদের মত সাহসী ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করেনি।
তবে ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তন হলে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার বিষয়টি দলটির শীর্ষ নেতা এমনকি দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে এসেছে। তিনি ইতোমধ্যে ত্যাগীদের মূল্যায়নের জন্য দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে জেলা ও মহানগর পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানাগেছে। তাই এবার সময় এসেছে কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক নেতা মোকলেজের মত ত্যাগী ও সাহসী নেতাদের মূল্যায়ন করার।
এদিকে কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কান্ডারি মোকলেজ। তার এ প্রার্থী হওয়াতে অনেকটাই খুশি হয়েছেন তৃণমূল। কারণ, তৃণমূলও চাচ্ছেন তার মত একজন ত্যাগী ও সাহসী নেতা কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্বে আসুক। কারণ, তার মত ত্যাগী নেতারা দলের নেতৃত্বে আসলে দল আরও বেশি শক্তিশালী হবে বলেও বিশ্বাস করেন তৃণমূল।
স্বেচ্ছাসেবক দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, মোকলেজ আসলেই একজন ত্যাগী নেতা। বিগত হাসিনা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তিনি বহু ত্যাগ শিকার করেছেন। কিন্তু কখনও দল ছেড়ে যান নি এবং আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাঁত করেন নি। তার মত নেতারা আসলে দল একটি দোসর মুক্ত ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত হবে। তাই আমরা কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পদে মোকলেজের পক্ষে রায় দেয়ার জন্য সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোকলেজ বলেন, কিছু পাওয়ার জন্য কিংবা পদ পদবীর আশায় কখনো রাজনীতি করি নি। শুধুমাত্র শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ভালোবেসে বিএনপি করি। এতে দল যদি মূল্যায়ন করে ভালো, আর যদি মূল্যায়ন না করে কোন সমস্যা নাই। বিএনপি করি, করেই যাবো।
প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আসলে সকলের অনুরোধে আমি প্রার্থী হয়েছি। এখন কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা যদি আমাকে চায় আর আমার পক্ষে রায় দেয় তাহলে আমি নির্বাচিত হয়ে তাদের জন্য কাজ করবো। আর যদি নির্বাচিত নাও হই তবুও আমি তৃণমূলের পক্ষেই থাকবো।