বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, প্রতিটা নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনী আসন পুর্ননির্ধারিত হয়ে থাকে। ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে, প্রশাসনের সুযোগ সুবিধার ভিত্তিতে এবং ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে। এটা শুধু আমাদের নারায়ণগঞ্জে ৩টি আসনে হয়েছে, তা না। দেশের ৩৯টা আসনে হয়েছে। ইতোপূর্বে কিছু না কিছু আসনে সীমানা পরির্বতন হয়েছে। আমি আপনাদের সামনে এখানে অনেকবার বক্তৃতা দিয়ে বলেছি, আসন যেভাবেই পুর্নবিন্যাস হোক না কেন, যে এলাকার মানুষের কাছে আমার স্নেহ্ ভালোবাসা আছে, মর্যাদা আছে, যে এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে, আমার পেছনে যাদের অবদান রয়েছে যেভাবেই আসন ভাগ হোক না কেন আমি ফতুল্লার অংশে থাকবো। এটা আপনাদের সামনে বলার জন্য বলা নয়, এটা আমার অন্তরের কথা। মনে রাখতে হবে।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া সংলগ্ন ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, আমার প্রিয় সহকর্মীদের ঈমানের ঘাটতি আমি প্রায় লক্ষ্য করি। এটা আমাকে দুঃখ দেয়, যেটা আমাকে বিচলিত করে। এত ভালোবাসা ছেড়ে আমি অন্য জায়গায় যাবো, আমি এতই বোকা? আর আমি কি এতটাই স্বার্থপর? যারা এখনও আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, আমার জন্য অনেকের বিরুদ্ধে আজকে বিরোধীতা করতে হয়, আপনাদেরকে নিয়ে যারা কটাক্ষ করে, আপনাদের শাস্তি দেয়ার জন্য যারা উদগ্রিব, আপনাদেরকে ছেড়ে আমি চলে যাবো? এটাতো কোন মানুষের কাজ হবে না। তাহলে আমি মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই আপনাদের মাঝে।
তিনি বলেন, এই যে, ২০০১ সাল থেকে বিএনপিকে প্রতিকুল অবস্থা থেকে অনুকুল অবস্থায় আনলাম অন্যের কাছে ভর্গা দেয়ার জন্য? এতটা আশা তারা কিভাবে করে? তাদের কি কন্টিভিশন আছে ফতুল্লাবাসীর জন্য? রাজনীতি করছেন রাজনীতিই করেন, জনগণের পাশে থেকে তাদের আস্থা অর্জন করুন আগে। তারপর আসেন নির্বাচন নিয়ে কথা বলবো।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লার সভাপতিত্বে ও ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও গিয়াসপুত্র সাদরিলসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।