মাত্র ৩০ মিনিটের বৃষ্টিতেই ডুবে গেছে নগরীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট। দুপুরে বাসা থেকে কাজে বের হওয়া মানুষদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে রাস্তায় জমাট পানি এবং এরমধ্যে আবার তীব্র যানজটে নাকাল হয়েছে নগরবাসী। এতে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েন। শনিবার (০৩ মে) সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সংস্কারের উদ্দেশ্যে সড়কে যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি এবং বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট কাদায় চরম দুর্ভাগে পড়েছে মানুষ। কোথাও কোথাও এমন কাদা যে পায়ে হাঁটার উপায় নেই। নগরবীর চাষাঢ়া, গ্রীণলেজ ব্যাংকের মোড়, উকিলপাড়া, নন্দিপাড়া, গোয়ালপাড়া, দেওভোগ ও বঙ্গবন্ধু সড়কসহ নগরীর অধিকাংশ এলাকায় একই অবস্থা। শুধু তাই নয়, পানি জমে থাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজটেরও। ফলে যান ও জলজটে একাকার প্রায় প্রতিটি সড়ক। মূল সড়কে লেগে থাকা যানজট পৌছেছে অলি-গলিতেও। এ কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় নগরবাসীকে।
রাজু নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই বঙ্গবন্ধু সড়কে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ২নং রেলগেট থেকে চাষাঢ়া আসতে আসতে দেখি মেইন রোডে প্রায় হাঁটু পরিমান পানি আটকা পড়েছে। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের অর্ধেকের বেশি ডুবে গেছে। এ দুর্ভোগ আমাদের নতুন নয়। প্রতি বর্ষাকালেই নগরীর এমন চিত্র ভেসে উঠে।
ইদ্রিস নামে এক ব্যাংকার যাচ্ছিলেন ব্যক্তিগত কেনাকাটা করার জন্য চাষাঢ়ার একটি মার্কেটে। তিনি বলেন, এমনিতেই শহরে যানজট লেগেই থাকে আবার এর উপর বৃষ্টির কারণে পানিতে রাস্তার বেশিরভাগ জায়গা ডুবে গেছে। এতে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ যেন অসহনীয় ভোগান্তি। জানিনা, কবে নগরবাসী এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে?
ক্ষোভ প্রকাশ করে রিকশায় বসা এক নারী বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হলেও শহরের রাস্তাঘাটের কোনো পরিবর্তন নেই। দীর্ঘ আইভী এ সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। তিনি শহরের রাস্তাঘাটের তেমন কোন উন্নয়ন করেননি। শুধু বড় বড় দালান বানিয়েছেন। তার কারণেই আজ নগরবাসীর এ অবস্থা, এত দুর্ভোগ। দিনের পর দিন এ ভোগান্তি নিয়েই আমরা শহরে বাস করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শীতকাল পেরিয়ে গেছে সেই কবে। এখন চলছে বর্ষাকল। এ বর্ষাকলে কেন ড্রেনের সংস্কার হবে? এতদিন তারা কি করেছে? তারা কি নগরবাসীর দুর্ভোগ বুঝেনা? না বুঝলে ছেড়ে দিক। তাদের এত বড় বড় চেয়ারে বসার কোন দরকার নাই। আমাদের টেক্সের টাকা তাদেরকে ওই চেয়ারে বসে আরাম করতে দেয়া হয়নি। বর্তমান সরকারের উচিৎ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। এদের কারণেই আজ দেশবাসীর এ করুণ অবস্থা।