হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে র্যালি করে রীতিমত রাজপথে কাঁপন ধরিয়েছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও তার পুত্র মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসার আশা।
শুক্রবার (০৭ই নভেম্বর) বিকালে নগরীর কালীরবাজার এলাকায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ বর্ণাঢ্য র্যালিটি বের করা হয়। র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসার আশা এ র্যালির আয়োজন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, ৭ই নভেম্বর যেটা হয়েছিলো সেইদিনের প্রেক্ষাপটটা থেকে আমরা মুক্তি চাই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার জন্যে সেইদিন ঢাকাসহ সারাদেশে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তিনি কে ছিলেন? তিনি ছিলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক। বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষক।
আবুল কাউসার তার বক্তব্যে বলেন, সবাই ধৈর্য ধরুন সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ইনশাআল্লাহ্, সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ্। জন¯্রােত যেখানে আমরা সবাই থাকবো সেখানে। আজকের মত অনাগত দিনেও আমরা আমাদের নেতা নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা বার বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সংগ্রামী সদস্য কারানির্যাতিত নেতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সাহেবের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো।
এসময় তিনি ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা- দালালী না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ স্লোগান দিয়ে উঠলে তার সাথে হাজার হাজার নেতাকর্মীরাও তার সাথে স্লোগান দিয়ে উঠেন। এসময় তাদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা নগরী।
র্যালিটি নগরীর কালীরবাজারস্থ কালামের বাসভবনের সামনে থেকে বের হয়ে বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় তার বাসার সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রং বেরংয়ের ব্যানার ফ্যাস্টুন, প্লাকার্ড, শত শত দলীয় ও জাতীয় পতাকা শোভাপায়।
র্যালিতে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন।