নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রচন্ড তাপদাহকে উপেক্ষা করে বিশাল র্যালি করেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর ডিআইটি এলাকা থেকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাহসী ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে এ র্যালিটি বের করা হয়।
র্যালিটি ডিআইটি এলাকা থেকে বের হয়ে শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে মন্ডলপাড়া এলাকায় গিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মূল র্যালিতে যোগদান করে।
এর আগে জিয়ার এ র্যালিকে কেন্দ্র করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন বন্দর থানাসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ডিআইটিতে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে জিয়ার নেতৃত্বে বের করা হয় এক বিশাল র্যালি।
র্যালিতে বিভিন্ন রং বেরংয়ের ব্যানার ফ্যাস্টুন ও প্লাকার্ড শোভাপায়। এছাড়া ডাক-ঢোল ও দলীয় এবং জাতীয় পতাকা র্যালিটিকে আরও বর্ণিল করে তোলে। এছাড়া র্যালিতে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে গোটা নগরী।
এর আগে র্যালি পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জিয়া বলেন, আমরা ছিলাম আমরা আছি এবং আমরাই থাকবো। কোন অপশক্তি ও ষড়যন্ত্র আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কেননা, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, আমরা খালেদা জিয়ার সৈনিক, আমরা তারেক রহমানের সৈনিক আর আমরা জাকির খানের সৈনিক। সুতরাং আমরা এগিয়ে চলেছি এবং এগিয়ে যাবই। কেউ আমাদের পথ রুখতে পারবে না।
তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ষোলটি বছর আমরা মাঠে ময়দানে ছিলাম। বহু হামলা আর মামলায় জর্জরিত ছিলাম। শহরে খালেদা জিয়া আর জাকির খানের মুক্তি স্লোগান দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে কারানির্যাতিতও হয়েছি। কিন্তু তবুও আমরা দমে যাইনি। জেল থেকে বেড়িয়ে ফের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। কারণ, আমরা দলকে এ জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি। কারণ, আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা জাকির খানকে ভালোবাসি।
তিনি আরও বলেন, আজ দলে সুবাতাস বইছে। তাই অনেক সুখ পাখিরাও আসতে শুরু করেছে। এ সুখ পাখিদের জন্য আজ ত্যাগীরা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। কারণ, ত্যাগীদের কারণেই বার বার দল আলোর মুখ দেখে। ত্যাগীরা না থাকলে দল শক্তিশালী হয় না। সুতরাং শুধুমাত্র সুখ পাখিদের নিয়ে খেলা মেলা করলে চলবে না। ত্যাগীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে এবং তাদেরকে কাছে টানতে হবে। তবেই দল হয়ে উঠবে লৌহকঠিন শক্তিশালী।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন আহমেদ, জনী দেওয়ান, আনোয়ার গাজী, মোজাম্মেল হোসেন, মো: ওয়াসিম, শাহিনুর ইসলাম সুমন, মো: আলী, শুক্কুর আলী বেপারী, মো: সাজু, শাকিল, পরান প্রমূখ।