নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। তার বাবা ছিলেন হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ (জালাল হাজী)। তিনি ছিলেন বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক সাংসদ।
জালাল হাজী বিএনপির নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এবং বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে ১৯৭৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শহরের গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, কদমরসূলের হাজী সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়সহ বহু শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তাই আজও নারায়ণগঞ্জবাসী তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
সেই জালাল হাজীর ছেলে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ৩ বার বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও কখনো তাকে বিতর্কীত কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকতে দেখা যায়নি। তাই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও আবুল কালামকে নিয়ে তেমন কোন প্রশ্ন নেই বললেই চলে। একাধীকবার এমপি থাকার পরও তার বিরুদ্ধে ছিলনা কোন দুর্নীতির অভিযোগও। অত্যান্ত সততার সহিত জনপ্রতিনিধিত্ব করে গেছেন। এমপি থাকা অবস্থায় তিনি নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডেও ভূমিকা রাখেন। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ মহানগর বিএনপির সভাপতি থাকাকালিন সময়েও তিনি অত্যান্ত নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করার ভূমিকা রেখে গেছেন এবং ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও তিনি এখনও পর্যন্ত নিজেকে সকল বিতর্কের বাইরে রেখেছেন। তাই নানা কারণে তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রিয় পাত্রে পরিনত হয়েছেন বলে জানাগেছে।
সম্প্রতি তিনি আবারও জাতীয় নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানাগেছে। তবে তার এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানাজানি হওয়ার পর বিএনপির একটি মহল এনিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেছেন। তাদের মতে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে একটি লম্বা সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির বাইরে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। যতদিন তিনি মহানগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, ততদিনই তিনি রাজপথে ঠিকমত নামতে পারেননি।
তবে বিএনপির একটি বড় অংশ বলছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন অ্যাডভোকেট আবুল কালামই পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ, বেগম খালেদা জিয়া অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে খুবই ভালোবাসেন। ম্যাডামের গুডবুকে অ্যাডভোকেট আবুল কালামের নাম রয়েছে। অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও প্রজ্ঞা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ভীষণভাবে আর্কষণ করেছে। তাছাড়া ব্যক্তি হিসেবেও গোটা নারায়ণগঞ্জসহ কেন্দ্রেও তার একটি ক্লিন ইমেজ রয়েছে। কারণ, তিনি সারাটি জীবন অত্যান্ত পরিচ্ছন্নভাবে রাজনীতি করে গেছেন। তাই যে যাই বলুক না কেন, অ্যাডভোকেট আবুল কালামই পাবে বিএনপির টিকিট।