নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রজন্মদলের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক বড় বড় খেলোয়ার ছিলো। তারা বক্তব্যে বলতো, ‘আসেন খেলবো।’ কই? গতকাল রাত থেকেতো আমরা প্রতিটি অলিগলিতে ছিলাম কোন খেলোয়ার পেলাম না। জাকির খানের নির্দেশে গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি কোন খেলোয়ার পেলাম না। কার সাথে খেলবো?

সোমবার (২৩ জুন) বিকালে শহরের ২নং রেলগেটস্থ মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের নির্দেশে তার অনুসারিরা এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাতে কোন ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্যই এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম আরও বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তারা ঘোষণা দিয়েছিলো এ নারায়ণগঞ্জসহ গোটা দেশে তারা মিছিল করবেন। এ ঘোষণার পর আমাদের নেতা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের নির্দেশ গতকাল সারারাত আমরা প্রতিটি অলিগলিতে পাহারা দিয়েছি, এখনো দিচ্ছি।

তিনি বলেন, বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগের অনেক হুমরা-চুমরাদের দেখেছি এই দুই নম্বর গেটে দাঁড়িয়ে আমাদের নেত্রীকে নিয়ে অনেক কথা বলেছে। আপনারা জানেন, তাদেরকে এখন খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যারা সেদিন চাপা মেরেছিলেন, আমাদের নেত্রীকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেছিলেন তাদেরকে এখন কোথায়? বড় আফসোস, গতকালকে থেকে তাদেরকে খুঁজছি কাউকে পেলাম না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আড়ালে থেকে যতই হুমকি ধমকি দিক তারা আর কখনো এদেশে রাজনীতি করার সাহস পাবে না। আমরা যতদিন বেঁচে আছি আর জাকির খান সাহেব যতদিন বেঁচে আছে এ নারায়ণগঞ্জের মাটিতে আমরা কোন দু:শাসন মেনে নিবো না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালন পারভেজ মল্লিক বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে যদি কোন ধরনের নৈরাজ্য এবং জনসাধারণের জানমালের কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয় জাকির খানের নেতাকর্মীরা তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে। আমি নিষিদ্ধ সংগঠন ওই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলে দিতে চাই, খুনি হাসিনা ভারতের বসে থেকে এ সোনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য যে পায়তারা চালাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের প্রাণপুরুষ জাকির খানের নির্দেশে তার নেতাকর্মীদের শরীরে একফোটা রক্ত থাকতে ওই চক্রান্ত বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, জাকির খানের নির্দেশ আমরা গতকাল রাত্র থেকে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন অলিগলিতে জনসাধারণের জানমাল নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে আছি এবং থাকবো। আর যদি তারা জনসাধারণের নিরাপত্তা বিঘিœত করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা নেতা জাকির খানের পক্ষ থেকে তার দাঁতভাঙ্গ জবাব দেয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মো: লিটন, সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম, মো: সারোয়ার, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, মহানগর কৃষক দলের সহ সভাপতি মির্জা সেলিম, সালেহ্ আহমেদ রনি, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি মো: এজাজ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হাসান রাজ, মো: আয়নাল প্রমূখ।