চলছিলো বিএনপির চরম দুর্দিন। তবুও নারায়ণগঞ্জের সড়কে বার বার জ¦লে উঠছিলো আগুন। পুলিশ বাহিনীর কড়া এ্যাকশনে মাঠে ঠিকমত দাঁড়াতেই পারছিলেন না বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির ব্যানার দেখলেই ক্ষেপে যেতেন তারা। চালাতেন হামলা, গ্রেফতার করে নিয়ে যেতেন নেতাকর্মীদের। এর মধ্যেই চলছিলো বিএনপির লাগাতার হরতাল ও অবরোধ। দলের এ দু:সময়েও অনেক শীর্ষ নেতাদের শুধু ফটোসেশন করেই মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ গোপনে আঁতাঁত করেছেন সরকারি দলের সাথে। তবে একটা পক্ষ ছিলো যাদেরকে প্রাণঝুঁকি নিয়েও সেদিন মাঠে থাকতে দেখা গেছে। লাভ-ক্ষতির হিসেব তারা সেদিন করেন নি। শুধুমাত্র সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভালোবেসে রাজপথে পুলিশের বুলেটের সামনে বুকপেতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ করে হরতাল-অবরোধগুলোকে অনেকাংশে সফল করে তোলেছিলেন। সেইসব ত্যাগী ও সাহসী নেতাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের একনিষ্ঠকর্মী মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম ছিলেন অন্যতম।
নূর ইসলাম এমনি একজন নেতা যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির জন্য নিরলশভাবে পরিশ্রম করে গেছেন এবং আজও তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নেতাকে খুশি করতে তিনি নিজের জীবনও বাজি রাখতে দ্বিধাবোধ করেননি বা এখনও করেন না।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের প্রতিনিধির সাথে অনেকটা খোলামেলাই কথা হয় এ নেতার। খোলামেলা কথা বলতে গিয়ে মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম শুরুতেই জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে আধুনিক বাংলাদেশে রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এখন বিএনপির মূল কাজ জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে আদর্শকে বাস্তবায়ন করা। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন, তা প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সেই আদর্শ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর আমার নেতা জাকির খান। তার নির্দেশেই জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা মাঠে রয়েছি। যতদিন না জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন না হবে ততদিন আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাবো না।
শ্রমিক দল নেতা নূর ইসলাম এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি আমৃত্যু মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সবাই যখন নিজের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেছে তখন জিয়াউর রহমান সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রেও প্রবক্তাও জিয়াউর রহমান। আজ সেকারণেই রাজনৈতিক দলগুলো, সংবাদপত্রগুলো গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে। জিয়াউর রহমান সৎ সাহস নিয়েই এসকল কাজ তাঁর জীবদ্দশায় প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এমন মহান নেতার শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।