নারায়ণগঞ্জের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক ‘বঙ্গবন্ধু সড়ক।’ এ সড়কটির দু’পাশে গড়ে উঠেছে অনেক গুরুত্বপূণ স্থাপনা। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ব্যাংক, পোষাক কারখানা, বড় বড় রেষ্টুরেন্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সুপার মার্কেট, শপিং মল ইত্যাদি। এছাড়া আছে সরকারি-বেসরকারি ঐতিহ্যবাহী অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিদিন প্রায় লাখো লাখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে গোটা শহর।
নানা কারণে এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও যানজটের কারণে এখানে আসার কথা ভাবলে আঁতকে ওঠেন অনেকে। দিনের পর দিন চলা তীব্র যানজটে নাজেহাল-হয়রান এই এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা।
অবশেষে নগরবাসীর সেই দুর্ভোগ দুর্দশার কথা চিন্তা করে যানজট নিরসনে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় তাদেরকে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা যানজট নিরসনে কাজ করছে। তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকটা ট্রাফিকের ভ‚মিকায় হাত নেড়ে যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে তারা কেউ মিডিয়ার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। ফলে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে সেনাবাহিনী যানজট নিরসনে কাজ করায় তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়েছে নগরবাসী। তারা বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সড়কে যানজট অনেকটা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এ সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়। তাছাড়া ফুটপাতেও হাটার কোন জায়গা নেই। হকাররা সব দখল করে বসে আছে। আজ যখন দেখলাম সেনাবাহিনী যানজট নিরসনে কাজ করছে তখন খুব ভালো লাগলো। কারণে, ৫ আগস্টের পর পুলিশের নির্দেশ মানতে অনেকেই অনাগ্রহ হয়ে পড়েছে। ফলে তারা ট্রাফিকের কাজ ঠিকমত পালন করতে পাচ্ছেন। আর এ কারণে শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
নগরবাসী বলেন, আজ যখন সেনাবাহিনী সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছিলো দেখলাম তাদের নির্দেশ কেউ অমান্য করার সাহস পাইনি। কারণ, সেনাবাহিনীর উপর মানুষের আস্থা অনেক বেশি। তাই বলবো, অন্তত ঈদের আগ পর্যন্ত যেন তারা মাঠে থাকে। কারণ, ঈদে শহরে বাড়তি একটা চাপ থাকে। আর এ চাপে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। যদি সেনাবাহিনী এভাবে মাঠে থাকে তাহলে জনদুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে।