রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

কোন ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করবো না: মির্জা আব্বাস

মিলন বিশ্বাস হৃদয় / ৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে যে সময়ে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি সে সময়ে দেশের মানুষের অবস্থা খুব খারাপ। আজকে খুন ডাকাতি ছিনতাই লুটপাট অনেক বেড়ে গেছে। কারা করছে, এটা আপনারা জানেন। যারা বলে দিনের বেলায় যদি আমরা হাটতে না পারি, রাতে বেলায় আমরা কাউকে ঘুমোতে দেবো না। কারা বলেছিলো এ কথা? সেই দূর থেকে ভারতে বসে বসে আওয়ামী লীগের এ দালালচক্র, আওয়ামী লীগের তথাকথিত নেতৃবৃন্দ যারা এদেশকে লুট করেছে, এদেশের মানুষকে খুন করেছে, এদেশের সর্বনাশ করে ভারতে বসে আছে। ওরা ওই দেশে বসে বসে চক্রান্ত করছে কিভাবে এ দেশকে অশান্ত করা যায়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকালে শহরের মেট্রোহল সংলগ্ন এলাকায় জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এদেশকে অশান্ত করেন আর যাই করেন এদেশের মানুষের মনের যে শক্তি এটা কখনও আপনারা ভাঙতে পারবেন না। এদেশের মানুষের যে ঐক্য, এ ঐক্যকে কখনও ভাঙতে পারবেন না। এদেশের মানুষ শান্তি চায়, এদেশের মানুষ ভালোমত বাঁচতে চায়। আপনারা হতে দেবেন না। আমাদের শান্তিমত বাঁচতে দেবেন না, আমাদের খেতে-পড়তে দেবেন না। লুটপাট করবেন, চুরি-ডাকাতি করবেন, আগুন লাগাবেন, অনেক কিছু করবেন বলেছেন আপনারা। চেষ্টা করে দেখেন পারেন কি না? মানুষ এত সহজে আপনাদের ছেড়ে দেবে, এটা ভাবার কোন সুযোগ নাই।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, এ সরকারের কাছে আমাদের দাবি দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দেয়ার জন্য তাই না? এ সরকারের কাছে দাবি করি ছিনতাই লুটতরাজ এসব বন্ধ করার জন্য তাই না? কিন্তু দেখেন এদেশের মানুষ আমরা সকলেই তাদেরকে সমর্থন দিয়েছিলাম। আমরা বলেছি এ সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এদেশের মানুষ ব্যর্থ হয়ে যাবে, এদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। সুতরাং সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। আমরা অপেক্ষা করবো নির্বাচন পর্যন্ত। কিন্তু ওই পর্যন্ত নয় যে, আজীবন চলবে আর আমরা ব্যবসা করতে থাকবো। আজীবন আমরা অপেক্ষা করবো না। আজীবন আমরা কোন ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করবো না। সকল ষড়যন্ত্রকে ইনশাআল্লাহ্ আমরা মোকাবিলা করবো।

সভাপতি বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন বিগত সতেরোটি বছর আমরা তিনটি দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সেই তিনটি দাবির মধ্যে একটি দাবি ছিল শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সে একটি দাবি পূরণ হয়েছে শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের তোপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করে বিতাড়িত হয়েছে। আরো দুইটি দাবি ছিল একটি হল অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং আরেকটি দাবি ছিল আমাদের নেতা প্রিয় অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, এখনও এই ২টি দাবি আমাদের পূরণ হয় নাই। সুতরাং আমরা বলেছিলাম এই দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। তবে যতদিন আমাদের এই দুইটি দাবি এখনো পূরণ হয় নাই আমরা কিন্তু এখনও রাজপথ ছেড়ে যাইনি। আপনাদের সবাইকে রাজপথে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, শরীফ আহমেদ টুটুল, সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি সহ আরও অনেকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই